২৮শে জুন ২০০২।
সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়নের অংশ এবং বর্তমানে প্রজাতন্ত্র বাশকারিস্থানের রাজধানী উফার
কেন্দ্রীয় ট্রেন ষ্টেশন। আজ সকাল থেকেই এখানে উৎসব ভাব। বাবা, মা, ভাই, বোন সহ একে
একে উপস্থিত হচ্ছে উফার ক্ষুদে নক্ষত্ররা। ইউনেস্কোর আমন্ত্রনে উফার ৪৮ জন মেধাবী শিশু
কিশোর আজ মস্কো হয়ে স্পেনের অবকাশ কেন্দ্র বার্সেলোনা যাবে। ক’জন শিক্ষক শিক্ষিকার
সাথে এই শিশুরা ট্রেনে করে প্রথমে রাশিয়ান ফেডারেশনের রাজধানী মস্কো যাবে। সেখান থেকে
১১ ঘন্টা বিমান ভ্রমন শেষে বোর্সেলোনা পৌছে দু সপ্তাহের ছুটি কাটাবে। তারপর আবার ফিরে
আসবে তাদের একান্ত আপন উফায়। এই সব শিশুদের কেউ ছবি আকে, কেউ অত্যন্ত নামকরা ক্রিড়াবীদ।
এদের প্রতিভায় মূগ্ধ হয়ে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো বার্সেলোনায়
এই অবকাশের আয়োজন করেছে। ঠিক কাটায় কাটায় সকাল এগারোটায় মস্কোর উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়লো।
ক্ষুদে প্রতিভাদের সাথে দুই শিশু সহ একজন অতিথিও আছেন। তিনি হলেন লুদমিলা কলোয়েভ, উফার
বিখ্যাত স্থপতি ভিটালী কলোয়েভের স্ত্রী। ভিটালী বিশেষ কাজে বার্সেলোনার কাছেই এক স্থানে
আছেন তাই দুই সন্তান নিয়ে লুদমিলা উফার বিশিষ্ট শিশুদের সাথে বার্সেলোনা যাচ্ছেন স্বামীর
সাথে ছুটি কাটাতে।
চার ঘন্টা পরে
ট্রেন মস্কো পৌছলে ষ্টেশনে অপেক্ষারত ট্যুরিষ্ট এজেন্ট সবাইকে দুটি বাসে করে মস্কোর
এক প্রান্তের শেরমেতিয়েভো বিমান বন্দরে নিয়ে এল। এজেন্টের ধারনা ছিল বার্সেলোনাগামী
বিমানটি এখান থেকে ছাড়বে। কিন্তু সবাইকে নিয়ে বিমানবন্দরে ঢোকার পর জানা গেল বার্সেলোনাগামী
বিমানের জন্য নির্ধারিত বিমানবন্দর হলো দোমোদেদোভো যেটি মস্কোর আরেক প্রান্তে অবস্থিত।
ভূলটি জানার পর ট্র্যাভেল এজেন্ট তা সংশোধনের আপ্রাণ চেষ্টা করলেও কোন হল না। শিশুরা
তাদের জন্য নির্ধারিত বার্সেলোনাগামী বিমানটিতে উঠতে ব্যার্থ হলেও তারা যাতে মন খারাপ
না করে সে জন্য ট্যুরিষ্ট এজেন্সীটি মস্কোতেই তাদেরকে বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা পরিদর্শনের
ব্যবস্থা করলো। একই সাথে নতুন আরেকটি বিমান চার্টারের চেষ্টা চললো। দু’দিন পর, অর্থাৎ
১লা জুন ২০০২, বাস্কারিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান চার্টার করা সম্ভব হ’ল।
১লা জুলাই ২০০২,
রাত ১০:৪৫, মস্কো দোমোদেদোভো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। রানওয়েতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের
অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে বাম্কারিয়ান এয়ার লাইন্সের ফ্লাইট ২৯৩৭। এই ফ্লাইটে ব্যবহৃত
হবে টুপলভ ১৫৪ বিমান। রাশিয়ায় তৈরী এই বিমান যথেষ্ট নিরাপদ এবং স্বল্প পাল্লার উড়ানের
জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আজকের ফ্লাইটে মোট ৫ জন ককপিট ক্রু বিমানটি পরিচালনা করবেন। তবে
তিন জন পাইলট মূলত: বিমানটি চালিয়ে নিয়ে যাবেন বার্সেলোনা পর্যন্ত। আজকের ফ্লাইটের
ক্যাপ্টেন হলেন আলেক্সান্ডার গ্রস। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে
বিমান চালাচ্ছেন। তাঁর কো-পাইলট হিসেবে আছেন ওলেগ গ্রিগারয়েভ। প্রকৃতপক্ষে ওলেগ হচ্ছেন
বাস্কারিয়ান এয়ালাইন্সের প্রধান পাইলট। আজকের ফ্লাইটে তিনি আছেন একজন পর্যবেক্ষক ও
মূল্যায়নকারী হিসেবে। আজ তিনি ক্যাপ্টেন গ্রোসের
বিমান চালনা পর্যবেক্ষন করবেন। পেছনের সীটে বসেছেন আজকের ফ্লাইটের মূল কো-পাইলট বা
ফার্ষ্ট অফিসার মুরাদ ইক্রিয়ভ। মুরাদও অত্যন্ত দক্ষ একজন পাইলট এবং খুব তারাতারি ক্যাপ্টেন
হিসেবে পদন্নোতি ঘটতে যাচ্ছে তার। এছাড়া বিমানে উপস্থিত আছেন একজন দক্ষ নেভিগেটর ও
একজন ফ্লাইট ইন্জিনিয়ার।
রাত ১১টা বাজার
পাঁচ মিনিট আগে দোমোদেদোভো ফ্লাইট কন্ট্রোল অনুমতি দিলে ফ্লাইট ২৯৩৭ স্পেনের বার্সেলোনার
উদ্দেশ্যে রানওয়ে ত্যাগ করলো। ককপিট ও কেবিন ক্রু সহ বিমানটির মোট যাত্রী ৬৯। আশা করা
যায় মোট চার ঘন্টা চল্লিশ মিনিট উড়ার পর ২রা জুলাই ভোর ১:৩০ এর মধ্যে বিমানটি বার্সেলোনার
এল প্র্যাট ডি লোবরিগ্যাট বিমান বন্দরে অবতরন করবে। মস্কোর সাথে বার্সেলোনার সময়ের
পার্থক্য -২ ঘন্টা।
বাস্কারিয়ান ফ্লাইট
২৯৩৭ দোমোদেদোভো ত্যাগ করার দু ঘন্টা পর অর্থাৎ স্থানীয় সময় রাত ১১:০৬ এ ইটালীর বার্গেমো
বিমান বন্দর থেকে একটি বোয়িং ৭৫৭ বিমান বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেল্সের উদ্দেশ্যে রওয়ানা
দিল। আন্তর্জাতিক ক্যুরিয়ার সংস্থা ডিএইচএল এর হয়ে বিমানটি মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন
শহর থেকে পণ্য ও ডাক পরিবহন করে। আজকের ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন পল ফিলিপ্স ফ্লাইটের প্রথম
অংশটি পরিচালনা করবেন এবং ফার্ষ্ট অফিসার ব্র্যান্ড ক্যাম্পিউনি পরিচালনা করবেন দ্বিতীয়
অংশ। ইটালী সময় রাত ১১:০৬ মিনিটে ডিএইচএল ফ্লাইট ডিএইচএক্স ৬১১ রানওয়ে ত্যাগ করে ব্রাসেল্সের
উদ্দেশ্যে উড়াল দিল। বিমানটি ইটালীর আকাশ থেকে প্রথমে সুইজারল্যান্ডের আকাশে প্রবেশ
করবে। তার যাত্রার এই অংশটি নিয়ন্ত্রন করবে সুইস বেসরকারী এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনকারী
সংস্থা স্কাই গাইড। সুইজারল্যান্ডের আকাশ সীমা পাড় হয়ে বিমানটি প্রবেশ করবে জার্মানীর
আকাশে এবং তখন নিয়ন্ত্রন গ্রহন করবে জার্মান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। বাস্কারিয়ান এয়ারলাইন্সের
ফ্লাইট বিটিসি ২৯৩৭ স্পেনের পথে উড়তে গিয়ে দক্ষিন জার্মানীর আকাশে ডিএইচএল ফ্লাইটটিকে
অতিক্রম করবে। তবে দুটি বিমানের এ ধরনের অতিক্রম মোটেও বিপদজনক নয় এমনকি বিমান দুটি
একই উচ্চতায় থাকলেও কোন ভয় নেই। ট্যুপোলেভ ১৫৪ এবং বোয়িং ৭৫৭, উভয়ই অত্যন্ত আধুনিক
বিমান। দুটোতেই সংঘর্ষ এড়ানোর যন্ত্র টি-ক্যাস সংযুক্ত রয়েছে। আকাশে উড়ন্ত অবস্থায়
দুটো বিমান পরষ্পরের খুব কাছাকাছি এসে গেলে টি-ক্যাস বা ট্রাফিক কলিশন এভয়ডেন্স সিষ্টেম
বিপদ সংকেত প্রদান করে এবং বিমাদ্বয়ের পাইলটদের এ ধরনের পরিস্থিতিতে করনীয় বিষয়ে পরামর্শ
প্রদান করে।
সুইস সময় সন্ধ্যা
৭:৫০। বেসরকারী এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল স্কাইগাইডের জুরিখ কেন্দ্র। স্কাই গাইডের জুরিখস্থ
এরিয়া কন্ট্রোল সেন্টার উত্তর সুইজারল্যান্ড ও দক্ষিন জার্মানীর আকাশে বিমানের চলাচল
নিয়ন্ত্রন করে। দিনের অতি ব্যাস্ত শীফ্ট সবে মাত্র শেষ হয়েছে। রাতের শীফ্টের এয়ার ট্রাফিক
কন্ট্রোলার পিটার নেলসন তার দায়ীত্ব বুঝে নিতে এলো। পিটার একজন ভাল কন্ট্রোলার হিসেবে
পরিচিত এবং আট বছরের অভিজ্ঞতা তাকে একজন দক্ষ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার হিসেবে গড়ে তুলেছে।
সুইজারল্যান্ডের আকাশ দিনের বেলা অতি ব্যাস্ত থাকে। তাই দিনের শীফ্টে দুজন কন্ট্রোলার
কাজ করে। রাতের শীফ্টে আকাশে বিমানের সংখ্যা কম থাকায় দু’জন কন্ট্রোলার পালাক্রমে কাজ
করে। অর্থাৎ আকাশে উড্ডয়নরত বিমান পর্যবেক্ষনকারী রাডার এবং ২টি মনিটরের মাধ্যমে বিমান
চলাচল নিয়ন্ত্রনের দায়ীত্ব থাকে একজনের উপর, অপরজন তখন বিশ্রাম নেয়। একজন সহকারী নিয়ে
পিটার নেলসন দায়ীত্ব গ্রহন করলে দ্বিতীয় কন্ট্রোলার বিশ্রামে গেল। এখন থেকে পিটার নেলসনকেই
পালাক্রমে দুটি মনিটরের উপর দৃষ্টি রাখতে হবে এবং আকাশ পথের বিমানগুলোর পাইলটদের সাথে
যোগাযোগ রাখতে হবে। এতে করে পিটারের কাজের চাপ অনেক বেড়ে যাবে। এই নিয়মটি যদিও আন্তর্জাতিক
বিমান চলাচল আইনের পরিপন্থি কিন্তু বেসরকারী সুইস স্কাইগাইড এর অপারেটররা দীর্ঘদিন
ধরেই এই ব্যবস্থা অনুসরন করে আসছে।
রাত ১১:১০। কাজের
চাপ কম থাকায় পিটার একাই দুটি মনিটরের মাধ্যমে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রন করছে। দুটি মনিটর
এমন দুরত্বে অবস্থিত যে একটির দিকে নজর দিলে অন্যটি দেখা সম্ভব হয় না। তবে আকাশে বিমান
চলাচল কম থাকায় কোন সমস্যা হচ্ছে না। এমন সময় নিয়ন্ত্রন কক্ষে দুজন টেকনিশিয়ান প্রবেশ
করলো। স্কাইগাইড কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা বিমান চলাচল পর্যবেক্ষনকারী মূল রাডারে
কিছু রক্ষনাবেক্ষন কাজ করবে। এতে করে রাডারের গতি ধীর হয়ে যাওয়ায় পিটারের কাজের চাপ
আরও বাড়বে। এছাড়া, দুটি বিমানের দূরত্ব কমে গিয়ে মূখোমূখী সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখা দিলে
রাডার থেকে দুমিনিট প্রেরিত বিপদ সংকেতও এ সময় শোনা যাবে না। আধ ঘন্টা পর টেকনিশিয়ানদ্বয়
এসে জানালো যে রক্ষনাবেক্ষন কাজের অংশ হিসেবে তারা এবার নিয়ন্ত্রন কক্ষের মূল টেলিফোন
লাইনটি বিচ্ছিন্ন করবে। পিটারের প্রচন্ড আপত্তি থাকা সত্বেও টেলিফোন লাইনটি বিচ্ছিন্ন
করা হল। এখন থেকে বাইরের লাইনে কথা বলার জন্য পিটারকে বিকল্প ব্যাক আপ টেলিফোন সিষ্টেমের
উপর নির্ভর করতে হবে যদিও ব্যাক আপ সিষ্টেমটি প্রায়ই নষ্ট থাকে। ঠিক এই সময় জুরিখ এরিয়া
কন্ট্রোল সেন্ট্রাল নিয়ন্ত্রিত আকাশ সীমায় একই সাথে প্রবেশ করলো মোট তিনটি বিমান, দুটি
যাত্রীবাহী এবং অপরটি পণ্যবাহী। এরোলয়েডে এয়ারওয়েজ ফ্লাইট ১১৩৫, একটি যাত্রীবাহী এয়ারবাস
নিকটবর্তী ফ্রিডরিকসহাফেন বিমান বন্দরে অবতরন করবে, জার্মান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল
কর্তৃক হস্তান্তরিত বাস্কারিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিটিসি ২৯৩৭ এবং ইটালীরে আকাশ
থেকে সুইস আকাশে প্রবেশ করা ডিএইচএল ফ্লাইট ডিএইচএক্স ৬১১। তিনটি বিমানের সাথেই পিটারের
যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। এরোলয়েড ফ্লাইট ফ্রিডরেকসহাফেন বিমান বন্দরে অবতরনে সহায়তা
চাইলো। অপরদিকে ডিএইচএল ফ্লাইট ২৬০০০ ফিট থেকে প্রথমে ৩২০০০ ফিট এবং সবশেষে ৩৬০০০ ফিট
উচ্চতায় উড়ার অনুমতি চাইলো এবং বাস্কারিয়ান ফ্লাইট ৩৬০০০ ফিট উচ্চতায় থেকে বার্সেলোনার
দিকে উড়ে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলো। এই পর্যায়ে ১নং মনিটর থেকে পিটার নিয়ন্ত্রন
করবে বাস্কারিয়ান ও ডিএইচএল ফ্লাইট এবং ২নং মনিটর থেকে এরোলয়েড ফ্লাইটের অবতরন নিয়ন্ত্রিত
হবে ।
উর্ধাকাশে উড্ডয়নরত
দুটি বিমান নিয়ন্ত্রনকালে অপর একটি বিমান অবতরনে সহায়তা করা অত্যন্ত জটিল ও কঠিন কাজ
বিধায় পিটার এরোলয়েড ফ্লাইটটিকে ফ্রিডরিকসহাফেন বিমান বন্দরের টাওয়ার কন্ট্রোলের কাছে
হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফোন করার চেষ্টা ব্যর্থ হলো। মূল টেলিফোন লাইন ইতোমধ্যে
রক্ষনাবেক্ষনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং ব্যাক আপ সিষ্টেমটি যথারীতি কাজ করছে
না। ফ্রিডরিকসহাফেন টাওয়ার কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে পিটার এরোলয়েড ফ্লাইটিকে
অবতরনে সহযোগীতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে একই সাথে তিনটি কাজ করলো। ডিএইচএল ফ্লাইটিকে
৩৬০০০ ফিট উপরে উঠে যাওয়ার অনুমতি দিল, বাস্কারিয়ান ফ্লাইটটিকে ৩৬০০০ ফিট উচ্চতায় থেকে
বার্সেলোনার দিয়ে এগিয়ে যেতে বললো এবং এরোলয়েড ফ্লাইটটিকে ফ্রিডরিকসহাফেন বিমান বন্দরে
অবতরনের জন্য লাইন আপে আসার নির্দেশ প্রদান করলো। কেউই বুঝতে পারলো না, পিটারের এই
কাজগুলোর কারনে এই মাত্র ধংসের এক মহা বীজ বপন করা হল যার ফলস্রুতিতে ঝরে যাবে ৬৯টি
অমূল্য প্রাণ।
জার্মানীর আকাশে
৩৬০০০ ফিট উপর দিয়ে উড়ছে বাস্কারিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিটিসি ২৯৩৭, ইটালী থেকে
সুইস আকাশে একই উচ্চতায় উড়ে চলেছে আন্তর্জাতিক ক্যুরিয়ার সংস্থা ডিএইচএল এর ফ্লাইট
ডিএইচএক্স ৬১১। ঘন্টায় গড়ে ৯০০ কিলোমিটার বেগে উড়ন্ত এই বিমান দুটি দক্ষিন জার্মানী
ও উত্তর সুইজারল্যান্ড সীমান্তের ইউবারলিন্জেন এবং ওইলিন্জেন শহর দুটোর আকাশে পরষ্পরকে
অতিক্রম করবে।
No comments:
Post a Comment